পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে পড়ে ছিল ভারতীয় যুবকের লাশ, গুলির ঘটনায় বিজিবির প্রতিবাদ

পাটগ্রাম ইউনিয়নের টেপুরগাড়ি (ডাঙ্গাপাড়া) সীমান্তের ওপারে ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে থাকা যুবকের লাশছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রাকেশ হোসেন (৩০) নামের এক ভারতীয় যুবক নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পাটগ্রাম ইউনিয়নের টেপুরগাড়ি (ডাঙ্গাপাড়া) সীমান্তের ওপারে ভারতের অভ্যন্তরে লাশটি পড়ে ছিল।

বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। বৈঠক হলে গোলাগুলি ও নিহত ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

আজ ভোরে পাটগ্রাম ইউনিয়নের টেপুরগাড়ি (ডাঙ্গাপাড়া) সীমান্তে ওপারে ভারতের সীমান্তবর্তী মীররাপা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা থানার উত্তর টেপুরগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুল ইসলামের ছেলে। দুপুর ১২টার দিকে বিএসএফের সহায়তায় ভারতের মাথাভাঙ্গা থানা–পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

বিজিবি ও সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে টেপুরগাড়ি সীমান্তের কাছ দিয়ে গরুসহ বিভিন্ন মালামাল চোরাচালানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নিহত রাকেশসহ দুই দেশের কয়েকজন চোরাকারবারি। আজ ভোরে সীমান্তবর্তী মীররাপা গ্রাম থেকে কাটাতার পেরোনোর পূর্বমুহূর্তে বিএসএফের টহল দলের মুখোমুখি হলে বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের দিকে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এ সময় অন্য চোরাকারবারিরা পালালেও রাকেশ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। রাকেশের ডান পাশের ঊরুতে গুলি লাগে। ভারত সীমান্তের প্রায় ১৫০ গজ ভেতরে তাঁর লাশ পড়ে ছিল। দুপুর ১২টার দিকে বিএসএফের সহায়তার ভারতীয় পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

বিজিবি ৬১ (তিস্তা-২) ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে ভারতের এক নাগরিক নিহত বলে জানতে পেরেছেন। সীমান্তে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়েছেন। বৈঠক হলে গুলি ও নিহত হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।