আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় গেল ৩ হাজার কেজি ইলিশ

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় রপ্তানি করা হচ্ছে ইলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৩ হাজার ২২৫ কেজি ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা একটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত তিনটি পিকআপে এসব মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়। প্রতি কেজি ইলিশের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠান এ অনুমতি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।

আখাউড়া স্থলবন্ধর সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দরের মেসার্স প্রীতম এন্টারপ্রাইজ এই মাছ পাঠানোর সিঅ্যান্ডএফের দায়িত্ব পেয়েছে। আজ দুপুরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার ২২৫ কেজি ইলিশ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় রপ্তানি করে। তিনটি পিকআপে করে এসব মাছ আগরতলায় পাঠানো হয়। চলতি সপ্তাহে আখাউড়া দিয়ে আরও একাধিক ইলিশের চালান আগরতলায় যাওয়ার কথা রয়েছে।

প্রতি কেজি ইলিশের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার। আজ শুক্রবার দুপুরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে
ছবি: প্রথম আলো

মেসার্স প্রীতম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন করে ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছেন। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এসব মাছ ভারতে রপ্তানি করা হবে। আজ দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৩ টন ২২৫ কেজি মাছ রপ্তানি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আট শর্তে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানির অনুমতিপ্রাপ্ত পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করবে, প্রতিটি চালান জাহাজীকরণ শেষে রপ্তানির কাগজপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে, অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করা যাবে না, অনুমতিপত্র কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয় ও অনুমোদিত রপ্তানিকারক ছাড়া সাব–কন্ট্রাক্টিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না।