দেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তির সঙ্গে ধর্ম পালন করতে পারছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শেখ হাসিনা সব ধর্মাবলম্বীর নিরাপদ আশ্রয়। একসময় সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি শুরু করে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা পুনরায় ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনেন। এখন সব ধর্মের মানুষ শান্তির সঙ্গে সমভাবে ধর্ম পালন করতে পারছে।
আজ শুক্রবার সকালে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবাই মানুষ। সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া, সব ধর্মের মানুষকে ধর্ম পালনের সুযোগ করে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। শেখ হাসিনা হচ্ছেন সেই নেত্রী, যিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের শান্তিতে রাখার জন্য সবকিছু করেছেন। সনাতন সম্প্রদায়ের সম্পত্তি যাতে বেহাত না হয়, সে ব্যবস্থাও তিনি করে দিয়েছেন।
ধর্ম কখনোই মানুষের মধ্যে বিভাজন করে না উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ধর্মের মানুষই কারও জন্য ক্ষতিকর নয়। ১৯৭১ সালে কিছু রাজাকার, কিছু দুষ্কৃতকারী, সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি সনাতন সম্প্রদায়সহ যাঁরা আওয়ামী লীগ করতেন, তাঁদের ওপর আঘাত করেছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে সেই রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে রায় কার্যকর করেছেন। এখন আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশে বসবাস করছি। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির শেষ আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনা।’
এ সময় নাজিরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল মামুন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মুস্তাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্জন কান্তি বিশ্বাসসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।