নরসিংদীতে চোর সন্দেহে দুই কিশোরকে পিটুনি, একজনের মৃত্যু

পিটুনি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় চোর সন্দেহে দুই কিশোরকে পিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। অপর কিশোর গুরুতর আহত। আজ রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোরের বয়স ১৫ বছর। আহত কিশোরের বয়স ১৫ বছর। তারা দুজন একই এলাকার।

নিহত কিশোরের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে সারা শরীরের হাড় গুঁড়া করে দিয়েছে তারা। সে যদি অপরাধ করেও থাকে, তাকে পুলিশে দিতে পারত, সামাজিকভাবেও বিচার করতে পারত। এসব না করে তাকে এভাবে মেরে ফেলার অধিকার কি তাদের আছে? মনে হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে তারা।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে দুই কিশোর টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জঙ্গলে যায়। এ সময় চোর সন্দেহে দুই কিশোরকে আটক করেন এরশাদ মিয়া (৩০) নামের একজন। আজ ভোর পর্যন্ত এরশাদ ও তাঁর স্বজনেরা দুই কিশোরকে আটকে রেখে পিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। পরে আহত অবস্থায় আরেক কিশোরকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাজিদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরের লাশ উদ্ধার করেন।

ঘটনার পর থেকে এরশাদ ও তাঁর স্বজনেরা পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরশাদ মিয়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে পলাশ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি মাদকের মামলায় জেল খেটে এলাকায় ফেরেন তিনি।

এসআই মাজিদ হোসেন বলেন, দুই কিশোর এত রাতে সেখানে কেন গিয়েছিল, তা জানা যায়নি। পিটুনিতে মারা যাওয়া কিশোরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে এরশাদ মিয়া পলাতক। নিহত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।