ভাঙ্গায় লাইনচ্যুত হওয়ার ১৩ ঘণ্টা পর ছাড়ল জাহানাবাদ এক্সপ্রেস, অন্য ট্রেনেরও সূচি বিপর্যয়

দুর্ঘটনার কারণে রেললাইনটি আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। পরে এটি মেরামত করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর চলাচল শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা এলাকায় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।

ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের স্টেশনমাস্টার সুমন মৃধা জানান, আঁকাবাঁকা লাইন মেরামত করার পর আজ শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর অন্য একটি ইঞ্জিন নিয়ে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

এদিকে এই দুর্ঘটনার জন্য খুলনা-রাজবাড়ী-ঢাকা পথে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও নকশিকাঁথা ট্রেন দুটির চলাচলসূচির বিপর্যয় ঘটেছে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৫ ঘণ্টা বিলম্বে আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ভাঙ্গা জংশন অতিক্রম করে। আর নকশিকাঁথা ট্রেনটি নির্ধারিত (সকাল ৫টা ৩০ মিনিট) সময়ের আড়াই ঘণ্টা দেরিতে সকাল আটটার দিকে রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

এর আগে গতকাল রাত আটটার দিকে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসে। রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটির খুলনা পৌঁছানোর কথা ছিল। ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের যাত্রাবিরতি শেষে রাত ৯টা ২০ মিনিটের পর জংশন থেকে বের হয় ট্রেনটি। পরে সাড়ে নয়টার দিকে জংশনের অদূরে এক কিলোমিটারের মধ্যে সিগন্যালের ভুল ও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য ট্রেনটির ইঞ্জিন ও লাগেজ বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুজ্জামান শিকদার জানান, ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি হয়েছে। কেউ কেউ সড়কপথে গতকাল রাতেই খুলনা চলে গেছেন।