শ্রীমঙ্গলে আগেই ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ, ৪ সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভোট গ্রহণের আগে ব্যালটে সিল মেরে রাখার অভিযোগে চার সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন ভোটকেন্দ্রে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব।

ওই চারজন হলেন শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মীরা শীল, অঞ্জন দেব ও সিরাজুন নেহার চৌধুরী এবং হাউজিং স্টেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার দেব।

সদর ইউনিয়ন ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম ও হাউজিং স্টেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা বলেন, ওই চার সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহণের আগেই ব্যালটে সিল মেরে রাখেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট এসে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মো. আবু তালেব প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু করতে আমরা কাজ করছি। এখন অবধি কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। আমরা শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভোটকেন্দ্র থেকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুজনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নিয়েছি। নির্বাচনের জন্য ৪ প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।’

এদিকে আজ সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সকাল আটটা থেকে ভোটাররা আসতে শুরু করলেও ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। বেলা ১১টা পর্যন্ত শহর ও গ্রামের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের চিরচেনা দীর্ঘ সারি দেখা যায়নি। তবে উপজেলার চা–বাগান এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। চা–শ্রমিকেরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে সকাল থেকেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভিড় করেন।

শ্রীমঙ্গলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা মিলিয়ে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪১ জন ভোটার আছেন।