নাটোর-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন বড়াইগ্রামের আবদুল খালেক

আবদুল খালেক সরকার
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় বিএনপির সমর্থক থেকে হঠাৎ করেই তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছেন বড়াইগ্রামের আবদুল খালেক সরকার (৬৩)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করবেন তিনি। তিনি বড়াইগ্রাম পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

আবদুল খালেক প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন গত রোববার তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমাও দিয়েছেন। ২৭ বা ২৮ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়ন ফরম জমা দেবেন। এখন ঢাকায় রয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে নাজমুল হুদার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সে কারণে তৃণমূল বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলটির সঙ্গে রয়েছেন তিনি। দলের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই আসনে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন

আবদুল খালেক মনে করেন, একসময় বিএনপি করতেন তিনি, এ কারণে নির্বাচনী এলাকার বিএনপি সমর্থকেরা তাঁকে ভোট দেবেন। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল (তৃণমূল বিএনপি) সরকার গঠন করতে না পারলেও প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সংসদে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

আরও পড়ুন

এদিকে আবদুল খালেকের বিষয়ে স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে এলাকায় সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না তিনি। তা ছাড়া এই সংসদীয় আসনে তৃণমূল বিএনপির কার্যক্রমও নেই।

নির্বাচনী এলাকায় সংগঠন না থাকার কথা স্বীকার করে আবদুল খালেক বলেন, নাটোর জেলাসহ দেশের ৬৪ জেলায় সংগঠন রয়েছে। তবে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় (নাটোর-৪) কোনো কমিটি নেই। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি গঠনের কাজ শেষ করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করা হবে।

আরও পড়ুন

আবদুল খালেক বলেন, ১৫ বছর ধরে বিএনপি ভুল সিদ্ধান্তের মধ্যে ডুবে আছে। যুগপৎ আন্দোলন সংগ্রামে সফল হয়নি দলটি। কারণ, তারা (বিএনপি) গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ্বাসী নয়। এ কারণে বিএনপি নির্বাচনে আসছে না।

আবদুল খালেকের বাবা প্রয়াত বাহাজ সরকার কৃষক ছিলেন। স্ত্রী দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে আবদুল খালেকের পরিবার। এক ছেলে সংসার দেখাশোনা করেন। বড় ছেলে কম্বোডিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য করেন। বড় মেয়ে স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ছোট মেয়ে কুমিল্লায় স্বামীর সঙ্গে থাকেন।

আরও পড়ুন