বগুড়ায় কলেজ ক্যাম্পাসে পড়ে ছিল অসুস্থ ভুবন চিল

দুই ডানা বিস্তার করে আকাশে উড়ছে ভুবন চিলফাইল ছবি: সাদ্দাম হোসেন

বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে অসুস্থ অবস্থায় একটি ভুবন চিল পাখি উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে কলেজের নতুন ভবন ক্যাম্পাসে পাখিটি পড়ে ছিল।

খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের (তীর) সদস্যরা। কলেজ চত্বরে পাখিটিকে ওড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে তাঁরা পাখিটিকে পরিচর্যা করে সুস্থ করে তোলার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে অসুস্থ পাখিটি তীরের সভাপতি হোসেন রহমানের তত্ত্বাবধানে রেখে চিকিৎসা ও পরিচর্যা চলছে।

তীরের সভাপতি হোসেন রহমান বলেন, ভুবন চিলটি কলেজ ক্যাম্পাসে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে ছিল। খবর পেয়ে তীরের কর্মীরা তা উদ্ধার করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে। পাখিটির শারীরিক অবস্থা খুবই দুর্বল। সারাক্ষণ ঝিম মেরে থাকছে। সুস্থ হলে বন বিভাগের পরামর্শে পাখিটি পরে অবমুক্ত করা হবে।

তীরের উপদেষ্টা ও সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ভূঞা বলেন, ভুবন চিল মাঝারি আকারের শিকারি পাখি। তাদের গায়ের রং খয়েরি, ডানায় হালকা বাদামি ছোপ থাকে। মূলত জলাশয় কিংবা নদ-নদীর কিনারে তাদের সাক্ষাৎ মেলে। একাকী অথবা ছোট দলেও নজরে পড়ে। ভুবন চিল ঢাকার কয়েকটি জায়গায় বিশেষ করে ট্যানারি এলাকায় বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জেলায় খুবই বিরল। প্রজাতির অন্যদের মতো খুব হিংস্র নয় এই পাখি। মাছই ভুবন চিলের প্রধান খাদ্য। তবে তারা মৃত বা রুগ্ণ মাছ খায়। এ ছাড়া কাকের বাচ্চা, ব্যাঙ, সরীসৃপ ও পোকামাকড় অন্য প্রাণীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় কখনো কখনো।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শহরের টাওয়ার ও পানির ট্যাংকের ওপরে এমনকি বড় দালানের এসির বাক্সের ওপরে কিংবা আড়ালে বাসা বাঁধে। শিকার করার জন্য যখন তারা নিচের দিকে নামে, তখন অন্যরকম এক দৃশ্য হয়। খাদ্যের সন্ধানে বিভক্ত হয়ে যায়। ডাস্টবিন থেকে ময়লা খেয়ে তারা শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে সাহায্য করে।