আবহাওয়া নিয়ে নৌপথের যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল পরিদর্শন করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার বিকেলেছবি: প্রথম আলো

এপ্রিল মাসে ঘূর্ণিঝড় হয়। এখনকার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে ঈদে নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীদের সার্বক্ষণিক সচেতন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুমে নদীপথে চলাচলকারী যাত্রীদের আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে জানানো হচ্ছে। প্রতিদিন সদরঘাট থেকে ৭০টি লঞ্চ চলাচল করে। এখন চলছে প্রায় ১২০টি। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে নৌপথ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কিন্তু নৌপথ সাশ্রয়ী ও নিরাপদ। পরিবার–পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের একমাত্র পথ হচ্ছে নৌপথ। তাই এই সেক্টর বিলুপ্ত হবে না। তবে নৌপথ ভালো সার্ভিস (সেবা) না দিলে মানুষ নৌপথবিমুখ হয়ে যাবে। সদরঘাটে সার্বিক পরিস্থিতি ভালো আছে। আমাদের লোকজন যাত্রীদের সেবা দেওয়ার জন্য যথাযথ চেষ্টা করছেন।’

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, উত্তরা–মিরপুরের মানুষ যখন মেট্রোরেল দিয়ে মতিঝিলে আসতে পারেন, তাহলে পুরান ঢাকার মানুষ মেট্রোরেলের প্রত্যাশা করবে, এটা স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯৬ সালে বলেছিলেন, ঢাকা শহরে মেট্রোরেলসহ ওয়াটারওয়ে, রেল ও সড়কপথে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। গত ১৫ বছরে মানুষ মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পেয়েছে। সদরঘাট পর্যন্ত মেট্রোরেল আনার ব্যাপারে কথা হয়েছে। চার–পাঁচ বছরের মধ্যে পুরান ঢাকার মানুষ সেই সুবিধা পাবে। আগামীতে পুরান ঢাকাসহ সদরঘাটও মেট্রোরেলের আওতায় আসবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘মানুষ খুব আনন্দের সাথে নদীপথে লঞ্চে যাচ্ছে। আগের মতো এখানে হয়রানি নেই। খুব সহজে লঞ্চে যেতে পারছেন। আগের দিনে পুরো লঞ্চ আর ছাদে মানুষ দেখা যেত। এখন আর ওই ছবি দেখা যাবে না। এটা ছিল খুবই ক্রিটিক্যাল। এতে আমরা আতঙ্কে থাকতাম। বিআইডব্লিউটিএর লোকজনসহ আমরা চিন্তায় ঘুমাতে পারতাম না। সদরঘাটের সেই পরিস্থিতি আগের মতো নেই। শুধু পদ্মা সেতুর কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।’

পরিদর্শন শেষে বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে নৌযান ও ঘাটের শ্রমিকদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, অতিরিক্ত সচিব সাজিদুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।