বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস করলে আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে: আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার দুপুরে আখাউড়ার বনগজ এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস করে বাংলাদেশের অর্জন নষ্ট করতে চাইলে আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ যেন কষ্ট থাকে, সেই ব্যবস্থা করা। আপনারা (বিএনপি-জামায়াত) যদি সন্ত্রাস করতে চান, আপনারা যদি বাংলাদেশের অর্জন নষ্ট করতে চান, তাহলে আমি আপনাদের বলে দিতে চাই, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে এবং আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা কোনো সন্ত্রাস সহ্য করব না। আমরা উন্নয়নের পথে হাঁটছি। আমাদের আর পেছন দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। যাঁরা পেছনের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করবে, আমরা আইনের মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

আখাউড়ার ধরখার-বড়বাজার সড়কের বনগজ এলাকায় ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯৬ দশমিক ১০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ওই সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা ২০১৪ সালে যখন নির্বাচন করতে গিয়েছি, তখন তারা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচন বয়কটের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। নিরীহ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মেরেছে। আমরা যখন ২০১৮ সালে নির্বাচন করতে গিয়েছি, তখন এই বিএনপি-জামায়াত মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। মানি লন্ডারিং করে বিদেশে টাকা নিয়ে গেছে। এখানে একটা নির্বাচনী এলাকায় তিনজন না হলে চারজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। প্রত্যেকের কাছ থেকে মাশা আল্লাহ কিছু তো টুপাইস নিয়েছে। তারপর নির্বাচন করে নাই।’

জনসভায় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনেও তারা সে রকম একটা ষড়যন্ত্র করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তারা আসে না। তারা মনে করে বিদেশে কিছু তাদের মুরব্বি আছে, তাদের কাছে কান্নাকাটি করলে পেছনের দিকের দরজা, তলের দিকে দরজা দিয়ে ক্ষমতায় বসাতে পারে কি না। তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, সেই জামানা শেষ। ওই যে যারা হত্যা করে রাজনীতি করতেন, ক্ষমতায় থাকতেন, বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের চিনে ফেলেছে। আপনারা সেই খেলা এখানে আর খেলতে পারবেন না। এখন বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে।’

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। এই জনপ্রতিনিধিরাই বাংলাদেশের মানুষের সেবা করবে। সেটাই ম্যান্ডেট এবং সেটাই হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নেতারা কোনো দিন আপনাদের কাছে আসবে না। তারা ষড়যন্ত্র করবে। তারা বাংলাদেশের মানুষের মুখের ভাত কীভাবে কেড়ে নেওয়া যায়, সেই ষড়যন্ত্র করবে। আপনারা কি এটা সহ্য করবেন? আমরা এটা সহ্য করব না। বাংলাদেশের জনগণ এটা সহ্য করবে না।’