মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, মাকে কুপিয়ে ও মেয়েকে ইটের আঘাতে জখম

মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় তানিয়া আক্তারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে
ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুজনকে কুপিয়ে ও ইট মেরে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের আটিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দুজন হলেন ওই গ্রামের সামছুল ঢালীর মেয়ে তানিয়া আক্তার (২৩) ও তাঁর মেয়ে প্রাপ্তি (৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটিপাড়া এলাকার সামছুল ঢালীর সঙ্গে একই এলাকার ফরহাদ ঢালীর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজ দুপুরে ফরহাদ লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে দেয়াল নির্মাণ করতে যান। এ সময় বাধা দেন সামছুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে ফরহাদের লোকজন সামছুলের পরিবারের ওপর ইট নিক্ষেপ করেন। এতে আহত হয় সামছুলের নাতনি দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রাপ্তি। পরে বাধা দিতে গেলে দেশি অস্ত্র নিয়ে সামছুলের মেয়ে (প্রাপ্তির মা) তানিয়াকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। পরে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত তানিয়া আক্তার বলেন, ‘প্রথমে আমার মেয়ের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে আমার ওপর। মেয়ের পায়ে ইট লেগে আহত হয়েছে আর আমাকে কুপিয়ে তারা আহত করেছে। আমার মেয়েটা কী দোষ করেছে? যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে, তাদের বিচার চাই।’

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন একই এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ ঢালী। তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। আমার ওপরে মিথ্যা দোষ দেওয়া হচ্ছে। আমাকে ফাঁসাতে আহত হওয়ার নাটক সাজিয়ে ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। অথচ সামছুল ঢালীর লোকজন আমার টিনের বেড়া ভেঙে ফেলেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করলে সত্যি বেরিয়ে আসবে।’

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগেও এই জমি নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। উভয় পক্ষ মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ফরহাদ ঢালী লোকজন নিয়ে এমন হামলা চালালেন কেন, তা পুলিশের জানা নেই। এ হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।