২৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। এর মধ্য দিয়ে উপজেলাটিতে দলটির নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা।

উপজেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংগীতের পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় সম্মেলন। দুই অধিবেশনে হওয়া সম্মেলনের প্রথম পর্বে শামসুল ইসলাম ও দ্বিতীয় পর্বে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই সভাপতিত্ব করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আইনবিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লা হিরু, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

এর আগে ১৯৯৭ সালে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। তিন বছর পর আবার সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এত দিন তা হয়নি। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই শামসুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বিন্যাস করে গত বছরের ২২ মার্চ আরেকটি কমিটি করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, গতকালের সম্মেলনে সভাপতি পদে চারজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন। পরে সমঝোতার মাধ্যমে অন্যরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুজন নির্বাচিত হন। নতুন কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানকে।

সম্মেলনজুড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের বক্তব্য ও স্লোগানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনারগাঁসহ নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই নৌকার প্রার্থী দেওয়ার জোরালো দাবি জানানো হয়। সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের আকাল পড়েছে কি না, প্রশ্ন রেখে মেয়র আইভী বলেন, এখানে বারবার জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে হচ্ছে কেন? সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা আজ নির্যাতিত, হামলা–মামলার শিকার। সোনারগাঁ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা হয়েছে।