অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি হননি, দাহ্য পদার্থে ঝলসে গেল নারীর দেহ

অ্যাসিড সন্ত্রাস

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারীকে দাহ্য পদার্থ দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সদরের রহিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ জাহানারা খাতুন (৪৫) উপজেলার বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের আদম জোয়াদ্দারের স্ত্রী। তিনি ওই এলাকার প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংগঠনে রাঁধুনির কাজ করেন। তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহানারা খাতুন জানান, তাঁদের পাশের গ্রাম পানিয়ার বাসিন্দা মধু ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ (৫৩) দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে উত্ত্যক্ত করেন। যাতায়াতের পথে ও মুঠোফোনে তাঁকে আপত্তিকর প্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখাতেন। গতকাল রাতে তিনি কর্মস্থল থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হচ্ছিলেন। ওই সময় আবদুল হামিদ মুঠোফোনে তাঁকে অফিসের সামনের কালীগঞ্জ-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে আসতে বলেন। তিনি সেখানে যান এবং আবদুল হামিদ ও একই গ্রামের সাগর (৩২) নামের দুজনকে দেখতে পান। তাঁরা তাঁকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় আবদুল হামিদ তাঁকে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। তিনি চিৎকার দিলে অফিসের অন্য কর্মীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।

জাহানারা খাতুনকে প্রথমে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, জাহানারা খাতুন নামের একটি দগ্ধ রোগীকে গতকাল রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাঁর মুখমণ্ডল, বুক, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর শরীরে অ্যাসিড ছুড়ে মারা হয়েছে। তবে পরীক্ষা না করে বলা যাবে না এটা কী ধরনের দাহ্য পদার্থ। তাঁর শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি ঝলসে গেছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন হোসেন জানান, ওই ঘটনা শোনার পর গতকাল রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ অ্যাসিডদগ্ধ ওই নারীর সঙ্গে কথা বলবে।