সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের নামে আরও একটি হত্যা মামলা
জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের নামে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রাহুলের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম (৩২)। মামলায় ইকবালুর রহিমসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে।
এর আগে ১৯ আগস্ট দিনাজপুর জেলা যুবদলের নেতা রুহান হোসেন বাদী হয়ে ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে অপর একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন জেলা যুবলীগ নেতা রাশেদ পারভেজ, আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, মো. রমজান, মানিক রঞ্জন বসাক, যুবলীগ নেতা মো. মিথুন, সুইট, ওবাইদুর রহমান, ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, শেখপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, শশরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট সকাল থেকে সারা দেশের মতো দিনাজপুরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। সেই আন্দোলনে রবিউল ইসলামও ছিলেন। আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার প্রধান ফটক ও জিলা স্কুলের সামনের সড়কে পৌঁছালে ইকবালুর রহিমের পরোক্ষ মদদ ও উসকানিতে তাঁর লোকজন হামলা চালান। হামলাকারীদের হাতে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র ও ক্ষতকর রাসায়নিক দ্রব্য ছিল। হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুড়লে রবিউলের দুই পা গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট রবিউল মারা যান।
নিহত রবিউল ইসলাম দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই মহারাজপুর এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি রানীগঞ্জ এহিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। শটগানের গুলিতে রবিউলের মৃত্যু হয়েছে বলে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুসনদে উল্লেখ করেছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, হত্যা, হত্যার উদ্দেশ্য ও ভয়ভীতির অপরাধসংক্রান্ত ধারায় রোববার বিকেলে একটি মামলা হয়েছে। আন্দোলনে নিহত রবিউল ইসলামের বড় ভাই মামলাটি করেছেন।