উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

বাগেরহাটের চিতলমারীতে ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক আবদুল জব্বার শেখ
ছবি: সংগৃহীত

এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক বখাটের ছুরিকাঘাতে আবদুল জব্বার শেখ (২৬) নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আটটার দিকে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার গোড়ানালুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই বখাটের ছুরিকাঘাতে রাজীব শেখ (২৬) নামের অপর এক যুবক আহত হন।

ওই হামলায় এক যুবক নিহত ও অপর যুবক আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ছুরিকাঘাতে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেলোয়ার মুন্সি ওরফে আকাশের পরিবারের চারটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ছুরিকাঘাতে নিহত আবদুল জব্বার শেখ গোড়ানালুয়া গ্রামের আবদুল হক শেখের ছেলে। আহত রাজিব শেখ একই গ্রামের মো. তৈয়ব শেখের ছেলে। আহত রাজীবের অবস্থাও সংকটাপন্ন। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা দেলোয়ার মুন্সি ওরফে আকাশ (২৮) গোড়ানালুয়া গ্রামের গ্রামের ডাবলু শেখের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

স্থানীয় লোকজনের বরাতে পুলিশ বলছে, দু-তিন দিন আগে দেলোয়ার মুন্সি এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেন। রাস্তা আটকে কথা বলতে চেষ্টা করেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গোড়ানালুয়া গ্রামের বাংলাদেশ সেবাশ্রমের পাশে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে আবদুল জব্বার শেখ ও রাজীব শেখের সঙ্গে দেলোয়ার মুন্সি, তাঁর ভাই জিনু মুন্সি ও বাবা ডাবলু মুন্সির তর্কবিতর্ক হয়। তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির একপর্যায়ে দেলোয়ার মুন্সি ধারালো ছুরি দিয়ে রাজিব ও জব্বারকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল জব্বার শেখকে মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে জব্বার শেখের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার বিকেলে চিতলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

পলাতক থাকায় দেলোয়ার মুন্সি ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে হামলা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজিত জনতা দেলোয়ার ও তাঁর বাবার চারটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।