সভাপতি ও সম্পাদক পদে যাঁরা আলোচনায় 

চুয়াডাঙ্গায় সাত বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রংবেরঙের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার ও তোরণে সাজানো হয়েছে জেলা শহর। গতকাল দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ১২ ডিসেম্বর। সাত বছর পর অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলন ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। পদপ্রত্যাশী এবং নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে জেলা শহর ও আশপাশের এলাকায়। সম্মেলনের স্থান টাউন ফুটবল মাঠে প্যান্ডেলসহ দক্ষিণ কোণে চলছে নৌকার আদলে বিশালাকার মঞ্চ তৈরির কাজ। এবার সভাপতি পদে দুজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন নেতার নাম আলোচনায় আছে।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার বলেন, অতিথি চূড়ান্ত করার পাশাপাশি চারটি উপজেলা ও একটি সাংগঠনিক ইউনিটের (দর্শনা থানা) ২১৮ জন কাউন্সিলর এবং ১৫ হাজার ডেলিগেট, গণমাধ্যমের বন্ধুদের আমন্ত্রণসহ সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, সম্মেলনে কাউন্সিলরদের মতামত ও আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ্য নেতাকেই চূড়ান্ত করবেন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভাচ্যুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল আলম, পারভীন জামান, গ্লোরিয়া সরকার সমাবেশে বক্তৃতা করার কথা আছে।

দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বর্তমান সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এবং জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের নাম আলোচনায় আছে। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলামের পাশাপাশি বর্তমান সহসভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলি আজগার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হান্নানের নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।

আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন,দলের ভেতরে যারা আমার নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন, তাঁদের চাওয়া আমি সভাপতি হই।’

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থিতা প্রসঙ্গে আলি আজগার বলেন, সামনে আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলা করে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কাউন্সিলে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারকে সভাপতি ও আজাদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।