বাগেরহাটে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে চাল তোলা হচ্ছে, বেশির ভাগই ফুলে গেছে

ডুবে যাওয়া চালবোঝাই বাল্কহেড জাহাজ থেকে চাল উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছেছবি: প্রথম আলো

বাগেরহাটের মোংলায় পশুর নদের মোহনায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া চালবোঝাই বাল্কহেড জাহাজ থেকে চাল উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় ডুবুরি ও শ্রমিকেরা মিলে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড এমভি সাফিয়া থেকে চাল তোলা শুরু করেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে থাকায় বেশির ভাগ চাল ফুলে উঠেছে এবং অনেক বস্তা ফেটে গেছে।

গতকাল রোববার দুপুরের পর পশুর ও মোংলা নদীর মোহনায় এমভি শাহজাদা-৬ নামের কার্গোর ধাক্কায় চালবোঝাই বাল্কহেড এমভি সাফিয়া ডুবে যায়। এ সময় ওই নৌযানে থাকা পাঁচজনই সাঁতরে তীরে উঠতে পারায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বাল্কহেডে থাকা ছয় হাজার বস্তা সরকারি চাল নদীতে ডুবে যায়।

চাল পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবদুর রশিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মো. আরাফাত বলেন, ‘এমভি সাফিয়া বাল্কহেডের মাধ্যমে আমরা সরকারি এই চাল খুলনা থেকে মোংলার খাদ্যগুদামে পৌঁছানোর কাজ করছিলাম। সোমবার সকাল সাতটা থেকে ডুবুরি ও শ্রমিক নিয়ে আমরা চাল উত্তোলনের কাজ শুরু করেছি। চাল তোলা শেষ হলে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হবে।’ এই কাজে ৭ জন ডুবুরি ও ৫০ শ্রমিক ৮টি ট্রলার নিয়ে দিনভর কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দু-তিন দিনের মধ্যে পুরো উদ্ধারকাজ শেষ করা সম্ভব হবে।

চাল তোলার কাজে অংশ নেওয়া শ্রমিক রাজু শেখ বলেন, সবাই সারা দিন কাজ করে দুই থেকে সোয়া দুই হাজার বস্তা চাল তোলা হবে।

রবিউল ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক বলেন, যেখানে নৌযানটি ডুবেছে, সেখানে প্রায় ৩০ ফুট পানি। ডুবুরিরা পানির নিচে গিয়ে হুক লাগিয়ে দিলে তাঁরা টেনে বস্তাগুলো ওপরে তুলছেন। তবে চালগুলো ফুলে উঠেছে। বেশির ভাগ বস্তা ফেটে গেছে।

মোংলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ সৈয়দ ফকরুল ইসলাম বলেন, বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দেওয়া লাইটার এমভি শাহজাদা-৬ গতকাল রোববার রাতে আটক করা হয়েছে। চাল পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান, বাল্কহেডের শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা করা হবে।

গতকাল সকালে খুলনার সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ছয় হাজার বস্তায় ১৮০ মেট্রিক টন সরকারি চাল নিয়ে মোংলা খাদ্যগুদামের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল এমভি সাফিয়া নামে ওই বাল্কহেড। ঈদ উপলক্ষে গরিব-অসহায়দের মধ্যে বিতরণের জন্য ওই চালগুলো আনা হচ্ছিল বলে জানান মোংলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ সৈয়দ ফকরুল ইসলাম।