মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন দুই ভাই, কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেল একজনের

রেদোয়ান ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

পাবনার রূপপুরের নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাতের দৃশ্য দেখতে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন দুই ভাই। তবে তাঁদের সেই ইচ্ছা আর পূরণ হয়নি। পথে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন বড় ভাই। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছোট ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গতকাল শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা–ঈশ্বরদী মহাসড়কের মালিগাছা এলাকায়। নিহত তরুণের নাম রেদোয়ান ইসলাম (২৩)। তিনি পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার আবদুল বাতেনের ছেলে ও ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে অমিত হোসেন (১৫)। সে শহরের কুঠিপাড়া মহল্লার মানিক হোসেনের ছেলে ও কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। রেদোয়ান ও অমিত সম্পর্কে খালাতো ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত আটটার দিকে রেদোয়ান ও অমিত মোটরসাইকেল নিয়ে জেলা শহর থেকে ঈশ্বরদীর দিকে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের মালিগাছা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান ওই মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রেদোয়ান ও অমিত মোটরসাইকেল থেকে সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।

এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রেদোয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে অমিতের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অমিত বর্তমানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।

নিহত রেদোয়ানের ফুফাতো ভাই পাভেল মৃধা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রেদোয়ান ও অমিতের রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাতের দৃশ্য দেখার ইচ্ছা ছিল। তাই রেদোয়ান ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পর ছোট ভাইকে নিয়ে রূপপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।

পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার সান্যাল বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কাভার্ড ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে এর চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনার পর নিহত তরুণের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নিহত তরুণের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি।