গাজীপুর সিটিতে গণবিজ্ঞপ্তি দিলেও সরানো হয়নি নির্বাচনী পোস্টার-বিলবোর্ড

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার
ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নগরীর বিভিন্ন স্থানে লাগানো পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার, বিলবোর্ড, প্রচারপত্র গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে অপসারণ করতে বলা হলেও কেউ তা করেননি। এই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

এর আগে ৮ এপ্রিল একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সম্ভাব্য যে প্রার্থীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার, বিলবোর্ড, প্রচারপত্র লাগিয়েছিলেন, তাঁদের ১৩ এপ্রিলের মধ্যে নিজ উদ্যোগে ও নিজ খরচে সেগুলো অপসারণ এবং দেয়ালে লিখন মুছে ফেলার অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস মোড়, চান্দনা চৌরাস্তা মোড়, জয়দেবপুর শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষ থেকে লাগানো রঙিন এসব পোস্টার এবং বিলবোর্ড দেখা যাচ্ছিল।

চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিলবোর্ড
ছবি: প্রথম আলো

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবে না। তা সত্ত্বেও গাজীপুর সিটির অধিকাংশ এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, ব্যানার, স্টিকার, বিলবোর্ড, প্রচারপত্র লাগানো হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬–এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যাঁরা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পোস্টার ও বিলবোর্ড অপসারণ করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পোস্টার, বিলবোর্ড অপসারণের বিষয়ে মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান সরকার রাসেল বলেন, বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতা-কর্মীরা যেসব পোস্টার লাগিয়েছেন, সবাইকে সেগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। ২৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।