চিলাহাটি–ঢাকা পথে নতুন ট্রেনের নাম নিয়ে বিতর্ক

ট্রেন
প্রতীকী ছবি

নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকা রুটে আগামী রোববার থেকে নতুন একটি আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হচ্ছে। ওই ট্রেনের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ নামকরণ পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়। 

‘নীলফামারী জেলাবাসী’র ব্যানারে দুপুরে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন শুরু হয়। পরে সেখানে সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তিভূষণ কুন্ডু। নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোর্শেদ আজম, জেলা ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেইফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাসেল আমিন, নীলফামারী মডেল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। 

বক্তারা বলেন, গত ২৯ মে বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে নতুন ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয় ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’। ৩০ মে রেলপথ মন্ত্রণালয় ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ নাম চূড়ান্ত করে রেলওয়ে দপ্তরকে চিঠি দেয়। তাঁরা এর প্রতিবাদ জানান। প্রস্তাবিত নাম অনুযায়ী তাঁদের জেলার নামে ওই ট্রেনের নামকরণ চান। 

বক্তারা বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’, লালমনিরহাট থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘লালমনি এক্সপ্রেস’, রংপুর থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম ‘রংপুর এক্সপ্রেস’, পঞ্চগড় থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নামকরণ হয়েছে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’। একই সঙ্গে তাঁরা নতুন ট্রেনে নীলফামারী জেলাবাসীর জন্য ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দ করার দাবি জানান। 

পরে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘স্মারকলিপিটি পেয়েছি। এটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।’ 

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ৪ জুন সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময়ে চিলাহাটি রেলস্টেশন চত্বরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, প চিলাহাটি-ঢাকা রেলপথে নতুন দিবাকালীন আন্তনগর ট্রেন চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নতুন ট্রেনটির পরীক্ষামূলক চলাচল (ট্রায়াল) শেষ করা হয়েছে।