সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে নড়াইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যা: পুলিশ

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল শিকদারছবি: সংগৃহীত

সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল শিকদারকে (৪৩) গুলি করে হত্যা করেছে বলে বলছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কুন্দশী এলাকায় তাঁকে গুলি করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

মোস্তফা কামাল শিকদারের বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি উপজেলার মল্লিকপুর ইউপির তিনবারের চেয়ারম্যান ছিলেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মোস্তফা কামাল শিকদারের লাশ নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর গতকাল রাতে আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল শিকদারের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য আকরাম হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের একাধিক মামলাও আছে। এর জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি বলেন, মোস্তফা কামাল শিকদার গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে তিনি মারা যান।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, মোস্তফা কামাল শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁর সমর্থকেরা মঙ্গলহাটা গ্রামে গুলিবর্ষণ করেন। এতে প্রতিপক্ষের ফয়সাল শেখ (২৪) ও পলাশ মোল্যা (৪০) গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও মঙ্গলহাটা গ্রামের কয়েকজন বলেন, ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নে তিনবারের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল শিকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের সদস্য আকরাম হোসেনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচনে আরও কয়েকজন প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে মোস্তফা কামাল শিকদার ও আকরাম হোসেন পরাজিত হন। নির্বাচনের সময় থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ২০২২ সালে সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল শিকদারের লোকজন হামলা চালিয়ে আকরাম হোসেনের হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। এ ঘটনার পর দুই পক্ষই থানায় মামলা করে।