ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে যুবক নিহত, প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা-লুটপাট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পূর্ববিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আমীর আলী (৪০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার দাঁতমণ্ডল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমীর আলী উপজেলার দাঁতমণ্ডল গ্রামের রফিজ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার কেরানীগঞ্জে সুজন মিয়ার ব্যাগের কারখানায় কাজ করেন সাকিল মিয়া। সুজন ও সাকিল দুজনই নাসিরনগর উপজেলার দাঁতমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা। ১০-১২ দিন আগে ওই দুজনের মধ্যে বিরোধ হয় এবং মারধরের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে ১৯ সেপ্টেম্বর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে এ ঘটনায় ২১ সেপ্টেম্বর নাসিরনগর থানায় মামলা হয়।
ওই ঘটনায় গতকাল সকালে মামলা ও বিরোধ মীমাংসায় উভয় পক্ষ সালিসে বসে। তবে সালিসে কোনো সমাধান হয়নি। বিকেলে দাঁতমণ্ডলের পুরাতন চকবাজার এলাকায় আবারও দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় সুজন পক্ষের আমীর আলী গুরুতর আহত হন। তাঁকে নাসিরনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের লোকজন শাকিলপক্ষের জালাল উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। জালালের বাড়ি থেকে ১৩টি গরু নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া আশপাশের আরও কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী রুফেসা বেগম অভিযোগ করে বলেন, চার-পাঁচজন মিলে তাঁর স্বামীকে বসতঘরে গলা টিপে হত্যা করেছে। অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও শাকিল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় মারামারির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এ নিয়ে থানায় মামলা রয়েছে। গতকাল সকালে সালিস বসলেও কোনো সমাধান হয়নি। বিকেলে আবার সংঘর্ষ হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পায়ে ও বুকে ইটপাটকেল লাগায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।