যৌন হয়রানির ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর মাদ্রাসাশিক্ষককে এক বছরের কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা তাঁর কার্যালয়ে আদালত বসিয়ে তাঁকে এ দণ্ড দেন। এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে আটক করে থানা-পুলিশ।

কারাদণ্ড পাওয়া ওই শিক্ষকের নাম আমির হোসেন (২৮)। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হাতিয়ারঘোনা এলাকার নজির আহমদের ছেলে। এক বছর তিন মাস ধরে তিনি টৈটংয়ের জামিয়াতুল আল আফকার ইসলামিয়া নুরানি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাদ্রাসায় যোগদানের পর আমির হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ নুরানি মাদ্রাসার সাবেক এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছাত্রীর পরিবার ও এলাকাবাসী বিষয়টি থানা-পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক আমির হোসেনকে আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ আটক করে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, আমির হোসেন মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখতেন। পরবর্তী সময়ে ওই শিক্ষার্থীদের সেই ভিডিও দেখিয়ে আবার যৌন হয়রানি করতেন।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরহাদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, আমির হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর মাদ্রাসা থেকে তাঁকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হবে।