ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মির্জাগঞ্জে বেড়িবাঁধ ভেঙে চার গ্রাম প্লাবিত

রোববার দুপুরে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুনদ্রা কালিকাপুর গ্রামে মোহাম্মদ বজলুল হাওলাদারের বসতঘরের ওপর একটি গাছ ভেঙে পড়েছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পায়রা ও শ্রীমন্ত নদের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ-ছয় ফুট বেশি বেড়েছে। জোয়ারের পানির তোড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। এতে চার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রিমালের প্রভাবে আজ রোববার দুপুরের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।

উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের মেহেন্দিয়াবাদ গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় মেহেন্দিয়াবাদ, চরখালী, গোলখালী, রানীপুর গ্রাম। তবে সন্ধ্যার দিকে ভাটার টানে পানি নেমে গেছে। তবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গোলখালী বেড়িবাঁধ। জোয়ারের পানি বেড়ে সুবিদখালী বাজার, কাঁঠালতলী বাজারসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাটের পন্টুনের গ্যাংওয়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দ্রা কালিকাপুর গ্রামে রিমালের প্রভাবে আজ দুপুরে ঝোড়ো বাতাসে বড় আকারের একটি গাছে উপড়ে পড়ে বজলুর রহমান হাওলাদারের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পায়রা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীবেষ্টিত মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দ্রা কালিকাপুর, ভিকাখালী, রামপুর, পিঁপড়াখালী, কপালভেড়া এবং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের গোলখালী, মেহেন্দীয়াবাদ, চরখালী, রানীপুর, কাঁকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ভয়াং ও কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শ্রীমন্ত নদের পানি বৃদ্ধির কারণে পায়রা নদীবেষ্টিত তিনটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। উপজেলায় ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ঘুরে ঘুরে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

আজ বিকেলে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মনোহরখালী গ্রামে পায়রা নদের তীরে জোয়ারের পানির তোড়ে কবর ভেঙে একটি লাশ ভেসে ওঠে। ওই নারীর স্বজন ও স্থানীয় লোকজন লাশটি আবার অন্যত্র দাফন করেন।