কুড়িগ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবা-মাসহ গ্রেপ্তার ৩: পুলিশ
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে হত্যা করেছেন এক বাবা। এ ঘটনায় পুলিশ মেয়েটির বাবা, মা ও এক চাচিকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার দায় স্বীকার করে তাঁরা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কাগজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী মজিবর রহমানের ৩২ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত শনিবার গভীর রাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও নিজ মেয়ে জান্নাতি খাতুনকে (১৫) রড ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন জাহিদুল। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩৮) ও ভাইয়ের স্ত্রী শাহিনুর বেগম (৪৫)। হত্যার পর জান্নাতির মরদেহ ভুট্টাখেতে ফেলে আসেন তাঁরা এবং বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন দেন ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে।
পরদিন নিহতের বড় চাচা খলিল হক (৫৫) কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ মজিবর রহমান ও তাঁর সহযোগীরা মেয়েটিকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছেন।
এরপর তদন্ত শুরু করে কুড়িগ্রাম থানার একটি দল। তদন্তে উঠে আসে, মূলত জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকেই হত্যা করেন জাহিদুল।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা ও ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলার রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জান্নাতির বাবা জাহিদুল ইসলাম (৪৫), মা মোর্শেদা বেগম ও চাচি শাহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।