মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই কিশোরের

সড়ক দুর্ঘটনাপ্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ও খাগড়াছড়ির রামগড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ও আজ শনিবার সকালে পৃথকভাবে দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।

সাতকানিয়ায় নিহত কিশোরের নাম মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। সে বাজালিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বাজালিয়া এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে। আবদুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও তাঁর বন্ধু আবদুল মাজেদ একটি মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার ধর্মপুর থেকে পশ্চিম বাজালিয়ার বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। আহত অবস্থায় দুজনকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়ার পথে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যু হয়। অপরজন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সানোয়ারুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নিহত আবদুল্লাহ পাইপ ফিটিংসের মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করত। বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে সে মাথায় আঘাত পায়।

এদিকে খাগড়াছড়ির রামগড়ে নিহত মোটরসাইকেল আরোহী কিশোরের নাম মোহাম্মদ শামীম। সে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুরের দাঁতমারা এলাকার মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে। আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সোনারখিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ শামীম একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিল। সোনারখিল এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় আহত শামীমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাস প্রথম আলোকে বলেন, শামীমের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।