গলাচিপার এক কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর ৫-৬ মিনিটে ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষা শুরুর ৫ থেকে ৬ মিনিটের মধ্যে ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান তাদের বহিষ্কার করেন।

এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, বহিষ্কৃত ৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন খাতায় রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া কিছুই লেখেনি। বাকি দুজনের একজন দুটি, আরেকজন তিনটি প্রশ্নের উত্তরের বৃত্ত ভরাট করেছিল।

গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হন মো. ইসমাইল রহমান। এ সময় তিনি কক্ষ পরিদর্শন শুরু করেন। তিনি একের পর এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা শুরু করেন। পরপর নয়জনকে বহিষ্কার করার খবর কেন্দ্রের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হন।

বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী ও মধ্য হরিদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোকসেদুল বলে, ‘আমি সকালে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে তাড়াহুড়ো করে শেষ সময়ে হলে ঢুকেছি। খাতা পাওয়ার পর দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক হয়ে সবকিছু ঠিক করে বসতে যাব, তখনই আমাকে বহিষ্কার করা হয়।’

বহিষ্কৃত একাধিক পরীক্ষার্থী বলে, তারা তাদের অপরাধ সম্পর্কে জানে না। তারা কোনো অসদুপায় অবলম্বন করেনি। খাতায় লেখা শুরুর আগেই তাদের বহিষ্কার করা হয়। খাতা পরীক্ষা করলেও বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে পরীক্ষার হল সুপার ও খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুসরাত জাহান মনি বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ৫ থেকে ৬ মিনিটের মধ্যেই ৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা দেখাদেখি করছিল। এ কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন এমসিকিউ উত্তরপত্রে ২টি, আরেকজন ৩টি উত্তর ভরাট করেছিল। বাকি সাত শিক্ষার্থী শুধু রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ঘর পূরণ করেছে।’