নিরপেক্ষ রাকসু নির্বাচন বাস্তবায়নে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ১০ প্রস্তাব

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনগুলোর সংবাদ সম্মেলনে। আজ দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটেছবি: প্রথম আলো

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু) নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে স্থানান্তর, অনলাইনে নারী প্রার্থীদের সাইবার বুলিং রোধে মনিটরিং সেল গঠনসহ ১০ দফা প্রস্তাব জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত সাহিত্য, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা উত্তরণ লেখক ও পাঠকের সূতিকাগার, গ্রিন ভয়েস, সাহিত্য সংসদ, মুক্তালাপ, বাংলা-উর্দু লিটারেরি ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

এতে লিখিত বক্তব্যে উত্তরণ লেখক ও পাঠকের সূতিকাগারের কেন্দ্রীয় সদস্য আফরিন জাহান বলেন, ‘আমরা এই ছাত্রসংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে দায়িত্বশীলদের নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণসহ সংগত কারণে এই প্রশাসনের অধীনে রাকসু নির্বাচনের নিরপেক্ষতা, সক্ষমতা ও গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে আমরা মোটেও শঙ্কামুক্ত নই। তবে প্রশাসনের রাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণে আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

তাঁদের ১০ দফা প্রস্তাবগুলো হলো—ভোটকেন্দ্র আবাসিক হল থেকে একাডেমিক ভবনে স্থানান্তর; ভোটকেন্দ্রকে সিসিটিভি ফুটেজের আওতায় আনা; কেন্দ্রগুলোয় সাংবাদিক প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত; নারী প্রার্থীদের অনলাইন-অফলাইনে বুলিং ও হয়রানির শিকার বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণপূর্বক মনিটরিং সেল গঠন; সব প্রার্থী ও সংগঠনের জন্য হল ও ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত; সব প্রার্থী ও প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ; প্রার্থীদের পোস্টার, ফেস্টুনের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা রোধে সব সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে পরিবেশ পরিষদ গঠন; নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য শিক্ষক, জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের নিয়ে নির্বাচন পরিদর্শক টিম গঠন; ছাত্রলীগ–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে প্যানেল কিংবা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা ভোটার হতে না পারে, এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থা গ্রহণ; আইবিএর শিক্ষার্থী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা; নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার স্বার্থে প্রার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করা; সেই সঙ্গে নির্বাচনী খরচের জন্য যেকোনো উৎস থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ প্রাপ্তির প্রমাণসহ ও উক্ত অর্থের প্রত্যেক উৎসের নাম উল্লেখ করে বিবরণী দিতে হবে।