পটুয়াখালী থেকে ‘নিখোঁজ’ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা অন্তর ঢাকায় উদ্ধার
গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা রবিউল আউয়াল অন্তরকে (৩০) উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার ৫৪ ঘণ্টা পর আজ রোববার সকাল সোয়া ছয়টায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার আশরাফাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিউল আউয়াল অন্তর ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাবিষয়ক সহসম্পাদক। তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের বাসিন্দা।
কলাপাড়া থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অন্তরকে উদ্ধার করার পর পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ দুপুরের পর এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া পৌর শহরের শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কের কলাপাড়া প্রেসক্লাবের মার্কেটে রবিউল আউয়াল অন্তরের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার সময় নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তিনি নিজের মোটরসাইকেলে ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এর পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না স্বজনেরা।
কলাপাড়া থানা–পুলিশ তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কলাপাড়া-পটুয়াখালী সড়কের রজপাড়া মাদ্রাসা–সংলগ্ন সড়ক থেকে পার্কিং করা অবস্থায় উদ্ধার করে। এর কিছুটা দূর থেকে তাঁর হেলমেটও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
অন্তরের নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বড় ভাই তুষার আল মামুন এ ঘটনায় পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে কলাপাড়া থানায় গত শুক্রবার একটি মামলা করেন।
তুষার আল মামুন বলেন, ‘কলাপাড়া পৌর শহর থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে আমার ভাই নিখোঁজ হয়। এরপর গভীর রাতে কলাপাড়া থানা থেকে কল পেয়ে আমরা বিষয়টি জানতে পারি।’
অন্তরের বাবা মো. সোলায়মান মৃধা বলেন, ‘আমার ছেলে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায় ও পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এরপর হঠাৎ আমার ছেলে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। ছেলের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে আমরা গত তিন দিন আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় ছিলাম। তবে অন্তরকে খুঁজে পাওয়ার খবরে আমরা পরিবারের সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’
সোলায়মান মৃধা আরও বলেন, ‘তবে কীভাবে অন্তরকে খুঁজে পাওয়া গেল, তা আমরা কিছুই জানি না। আমরাও চাই, ওর নিখোঁজ হওয়ার রহস্য উন্মোচিত হোক।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন্তরকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি থেকে কেরানীগঞ্জ থানা–পুলিশের সহায়তায় কলাপাড়া থানা–পুলিশ উদ্ধার করেছে। আজ দুপুরের পর এ বসয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে।’