গজারিয়ায় চাল আত্মসাতের অভিযোগে খাদ্য পরিদর্শক আটক

খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ সফিউল আজম
ছবি: প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর খাদ্যগুদামের ২০০-২৫০ মেট্রিক টন সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে এক খাদ্য পরিদর্শককে পুলিশে দিয়েছেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই কর্মকর্তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত খাদ্য পরিদর্শকের নাম সৈয়দ সফিউল আজম। তিনি ২০২২ সাল থেকে উপজেলা খাদ্য কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজধানীর দারুস সালাম এলাকার বাসিন্দা। আত্মসাৎ করা চালের বাজারমূল্য এক কোটি টাকার বেশি। এ ঘটনায় খাদ্যগুদামের ৪ নম্বর ভবনটি সিলগালা করেছে প্রশাসন।

স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব নেন আনোয়ার পারভেজ। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি রসুলপুর খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে যান। সেদিন তিনি ৪ নম্বর ভবন পরিদর্শন করেন। ওই ভবনে মজুত চালের পরিমাণ ৪৩১ মেট্রিক টন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে অনেক কম দেখতে পান তিনি। বিষয়টি সন্দেহ হলে খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হন, এখান থেকে অধিকাংশ চালের বস্তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া ১২ মার্চ থেকে গুদামের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ছিল না সফিউল আজমের। বিষয়টি খাদ্য কর্মকর্তা লিখিত আকারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। পরে সফিউল আজমকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

ইউএনও কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা লিখিত আকারে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। গুদামে মজুতকৃত ৪৩১ মেট্রিক টন চালের মধ্যে বড় ধরনের গরমিল পাওয়া গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। গুদামের দায়িত্বে থাকা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ সফিউল আজমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা করা হবে।’

গজারিয়া থানার ওসি রাজিব খান প্রথম আলোকে জানান, ‘খাদ্য পরিদর্শক সফিউল আজম থানা হেফাজতে রয়েছেন। আমাদের জানানো হয়েছে, ওই গুদাম থেকে ২০০ থেকে ২৫০ মেট্রিক টন চাল সরানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’