আগুনে পুড়ল প্রায় দেড় শ কবুতর, শত্রুতার অভিযোগ মালিকের

আগুনে পুড়ে যাওয়া কবুতর দেখাচ্ছেন আবদুল্লাহ আল মামুন। সোমবার সকালে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার শ্যামপুর মহল্লায়
ছবি: প্রথম আলো

আবদুল্লাহ আল মামুন একজন ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা। রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার শ্যামপুর এলাকায় তাঁর একটি ব্যবসায়িক কার্যালয় ছিল। শখের বশে ওই কার্যালয়ের সঙ্গেই একটি ঘরে একঝাঁক কবুতর পুষতেন। ওই ঘরে প্রায় দেড় শ কবুতর ছিল। এখন একটিও নেই। আগুনে কবুতরগুলো পুড়ে সব কয়লা হয়ে গেছে। আজ সোমবার ভোররাতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে মামুনের অভিযোগ, শত্রুতা করে তাঁর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তাঁর প্রিয় কবুতরগুলোকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে যারা, তিনি তাদের কঠোর শাস্তি চান।

মামুন রাজশাহীর কাটাখালী পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক। আজ সকালে আগুনে পুড়ে যাওয়া তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পোড়া ছাইয়ের ভেতর থেকে তখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। কার্যালয় আর কবুতরের ঘরের চিহ্নমাত্র নেই। আসবাব, ব্যবসায়িক কাগজপত্র—সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুধু আধপোড়া কিছু বাঁশ দাঁড়িয়ে আছে। কিছু পুড়ে মারা যাওয়া কবুতর এক জায়গায় জড়ো করে রাখা হয়েছে। বেশ কিছু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

সেখানে আশপাশের উৎসুক মানুষ জড়ো হয়েছেন। তাঁরা জানান, এখানে শতাধিক কবুতর ছিল। আগুনে সব কটি পুড়ে মরেছে।

আবদুল্লাহ আল মামুনের এই কবুতরগুলো আজ ভোররাতে আগুনে পুড়ে মারা গেছে। মামুনের অভিযোগ, শত্রুতা করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

কবুতরগুলোর মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি তাঁর কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁকে মারধরেরও চেষ্টা করেন। আজ ভোররাতে আশপাশের লোকজন তাঁর বাড়ি গিয়ে কার্যালয়ে আগুন লাগার খবর দেন। পরে সবাই মিলে আগুন নেভানোর আগেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি ধারণা করছেন, হুমকি দেওয়া ব্যক্তিই কার্যালয় জ্বালিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। এ নিয়ে মামলা করবেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগরের কাটাখালী থানার ওসি তৌহিদুর রহমান বিকেলে বলেন, এ রকম ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। তবে তখন পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।