ঈদের আনন্দে বেপরোয়া গতি, রাজশাহীতে দুই দিনে তিন তরুণের প্রাণহানি

সড়ক দুর্ঘটনাপ্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে ঈদ উদ্‌যাপন করতে গিয়ে তিন তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন। ঈদের দিন ও পরের দিন পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় এই প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে একটি দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু মারা গেছেন।

নিহত তরুণেরা হলেন রাজশাহীর পবা উপজেলার কয়রা গ্রামের সাধু মিয়ার ছেলে শান্ত হোসেন (২০) ও আক্কাস আলীর ছেলে ফাহিম ইসলাম (২০)। তাঁরা দুই বন্ধু। নিহত অপর তরুণের নাম আজিজুল ইসলাম (১৮)। তিনি জেলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানার ভড়ুয়া গ্রামের আকানি ইসলামের ছেলে। শান্ত ও ফাহিম গতকাল বৃহস্পতিবারের এবং আজিজুল ইসলাম আজ শুক্রবারের পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত হন।

রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোবারক পারভেজ বলেন, ঈদের দিন বিকেলে শান্ত তাঁর দুই বন্ধুসহ আরও কয়েকজন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। তবে ঈদ উদ্‌যাপন করতে গিয়ে তাঁরা সড়কে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। তাঁরা ঘুরতে ঘুরতে মহানগরের বুধপাড়া উড়ালসড়কের কাছে পৌঁছান। কিন্তু অতিরিক্ত গতির কারণে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তাঁদের মোটরসাইকেলটি সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে দুজনই সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

ওসি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর শান্ত মারা যান। একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তরের পর আজ মারা যান তাঁর বন্ধু ফাহিমও। মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনায় থানায় দুর্ঘটনা আইনে মামলা হয়েছে উল্লেখ করে মতিহার থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, তাঁরা ঠিকমতো মোটরসাইকেল চালাতেও জানতেন না। তাঁদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। ঈদের আনন্দে তাঁরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

এদিকে ঈদের পরের দিন মিনি পিকআপ ভ্যানে করে সাউন্ডবক্সে গান বাজিয়ে যাওয়ার সময় নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় বাসের ধাক্কায় নিহত হন আজিজুল ইসলাম। মহানগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরান হোসেন জানান, আজ সকালে আজিজুল তাঁর বন্ধুদের নিয়ে একটি ভাড়া করা মিনি পিকআপ ভ্যানে করে সাউন্ডবক্সে গান বাজিয়ে নাচানাচি করতে করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় যাত্রীবাহী একটি বাস ওই পিকআপকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই তরুণ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন

কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার শেষ করে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় দুর্ঘটনা আইনে একটি মামলা হয়েছে।