পেঁয়াজ-আদার দাম বেড়েছে, কমেছে রসুনের
সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে মানভেদে ৪৭ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল পেঁয়াজ। তবে এ সপ্তাহে দাম বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে দাম প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত জুন মাসে ৪২ থেকে ৫০ টাকা ছিল পেঁয়াজের দাম। পরের মাস জুলাইয়ের শুরুতে দাম ১-২ টাকা হারে বাড়তে শুরু করে। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে এসে দাম আরও কিছু বেড়েছে।
চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বড় আড়ত রয়েছে নগরের খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকায়। এর মধ্যে বেশির ভাগ আড়ত অবস্থিত খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেটে। গত সপ্তাহে এ বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকায়। এ সপ্তাহে সেটি ৫৫ টাকার বেশি।
হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, ‘আমদানি পেঁয়াজ নেই বলা চলে। ফলে পেঁয়াজের দাম এখন দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করছে। কৃষকের মজুত আছে, তবে দাম ছাড়ছেন না তাঁরা।’
পেঁয়াজের মতো বেড়েছে আদার দাম। গত ১০ দিনে এ পণ্যের দাম বেড়েছে অন্তত ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। তবে এ সপ্তাহে পণ্যটির দাম বেড়ে ১৮০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা নিম্নমানের আদাও এখন ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আগে এটি ১১০ টাকার আশপাশে ছিল।
পেঁয়াজ-আদার দাম বাড়লেও বাজারে রসুনের দাম কিছুটা কমেছে। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি রসুনের দাম বর্তমানে ১১০ থেকে ১১২ টাকা। আগের তুলনায় দাম কমেছে ১০ টাকার মতো। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে আদা এত দিন লোকসানে বিক্রি হয়েছে। এখন দাম কিছুটা বেড়েছে। রসুনের চাহিদা কম, তাই দামও পড়তি।
চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ বলেন, চাহিদার তুলনায় রসুন বেশি আছে, তাই দাম কম। পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। আমদানির অনুমতি পেলে দাম কমে যেতে পারে। তবে এখন কৃষকেরা দাম পাচ্ছেন। যদিও ক্রেতাদের জন্য দাম বাড়তি।
খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ কিনতে আসা চকবাজারের মুদিদোকানি মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, পেঁয়াজ বাড়তি দামে কিনলে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। ক্রেতারা দাম কবে কমবে, তা জানতে চান বারবার। পেঁয়াজের দাম ৪০-৫০–এর আশপাশে হলে ক্রেতারা খুশি।