মালয়েশিয়া পাচারকালে রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণী উদ্ধার, তিনজন গ্রেপ্তার

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে আশ্রয়শিবিরের বাইরের একটি বাড়িতে এনে রাখা দুজন রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীকে উদ্ধার ও মানব পাচার চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বরইতলির বাসিন্দা আকতার হোসেনের ঘরে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।

উদ্ধার করা দুজন হলেন টেকনাফের চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের এ ব্লকের বাসিন্দা মৃত ওসমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২১) ও উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা আবুল কাশেমের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা (২০)।

মানব পাচারকারী চক্রের গ্রেপ্তার তিন সদস্য হলেন টেকনাফের চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের এ-৬ ব্লকের ৯৪ নম্বর ঘরের বাসিন্দা সবু ইসলামের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২২), টেকনাফ সদরের বরইতলির স্থানীয় বাসিন্দা মৃত নুর হোসেনের ছেলে আকতার হোসেন (৩৫) ও একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩২)।

এপিবিএন সূত্র জানায়, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে টেকনাফের চাকমারকূল আশ্রয়শিবির ২১ নম্বর শিবির থেকে কয়েকজন রোহিঙ্গাকে বরইতলি গ্রামের আকতার হোসেনের ঘরে এনে রাখা হয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। এরপর চাকমারকূল এপিবিএন পুলিশ ফাঁড়ির একটি বিশেষ টহল দল ভোরে সেখানে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা তরুণ–তরুণীকে উদ্ধার করে। এ সময় পাচারকারী চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানতে চাইলে ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার করা রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীসহ মানব পাচারকারী চক্রের তিনজনকে থানা–পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।