বিএনপির হরতালের প্রথম দিনে নোয়াখালী ও কক্সবাজারে ১৬টি গাড়ি ভাঙচুর
বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিনে আজ শনিবার নোয়াখালীর মাইজদী ও কক্সবাজারের পেকুয়ায় ১৬টি যানবাহন ভাঙচুর করেন হরতাল সমর্থনকারীরা। এই সময় এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর পৌরবাজার ও মাইজদীবাজার এলাকায় হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও গাড়ি ভাঙচুর করেছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। আজ সকাল সোয়া ৯টা ও বেলা সোয়া ১১টার দিকে দুই দফায় বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। মাইজদী বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া দেন। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সোয়া ৯টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা পৌরবাজারে দক্ষিণ পাশে থেকে হরতালের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলকারীরা প্রধান সড়ক পার হয়ে বাজারের উত্তর মাথায় এসে ছয়-সাতটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। তাঁরা এ সময় বাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। তবে এ সময় কেউ হতাহত হননি। পরে খবর পেয়ে সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই বিএনপির কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির একদল কর্মী মাইজদী বাজার এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল বাজার প্রদক্ষিণের সময় তাঁরা চার-পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাচ ভাঙচুর করেন এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। একপর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একদল কর্মী মিছিলকারীদের ধাওয়া করলে তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যান। তবে এতে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির কর্মীদের বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ পৌরবাজার এলাকায় যায়। কিন্তু পুলিশ গিয়ে কাউকে পায়নি। তবে বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন গাড়িতে ঢিল ছোড়া হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি। শহরের কোথায়ও থেকে কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় ১০টি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিনে আজ ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পেকুয়া চৌমুহনী, সিকদারপাড়া, সাবেক গুলদি, মডেল কেজি ও ইসলামী ব্যাংক এলাকায় এসব গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ভাঙা গাড়ির মধ্যে দুটি ট্রাক, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও সাতটি ইজিবাইক (স্থানীয় ভাষায় টমটম) রয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি শুনেছি। তবে কয়টি গাড়ি বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভেঙেছেন, সে হিসাব নেই। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবি এ বিষয়ে কাজ করছে।’