এক প্রতীক নিতে তিনজন অনড়, শেষে লটারিতে রফা

কুষ্টিয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়তে ঈগল প্রতীক পেয়েছেন রুবেল পারভেজ। আজ দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষেছবি: প্রথম আলো

ঈগল প্রতীক নিতে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী ইচ্ছা পোষণ করলেন। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী এবং তরুণ। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন আরও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই দুজন পেশায় চিকিৎসক। দুজনই কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। তিনজনই একই প্রতীক চেয়ে বসায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁদের সমন্বয় করতে বলেন। এটি কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের প্রতীক বরাদ্দের সময়কার ঘটনা। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন।

প্রথম ইচ্ছা পোষণ করা প্রার্থী রুবেল পারভেজ মিলনায়তনে বসে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী চিকিৎসক সরদার মো. মুসতানজিদের কাছে যান। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের ছোট ভাই। আমাকে ভালোবেসে ঈগল প্রতীকটা ছেড়ে দেন।’ এভাবে কয়েকবার তিনি আবদার করেন। কিন্তু মুসতানজীদ জবাবে বলেন, ‘আমিও ঈগল নেব। তবে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কী বলে সেটা জেনে আসেন।’

এরপর রুবেল যান আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চিকিৎসক ইফতেখার মাহমুদের কাছে। তিনি সেখানেও আবদার করেন ঈগল প্রতীক ছেড়ে দেওয়ার জন্য। সেখানেও ব্যর্থ হন রুবেল। ইফতেখার মাহমুদ তখন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানান লটারি করতে। নিয়ম অনুযায়ী লটারি করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা। লটারিতে রুবেল পারভেজ ঈগল প্রতীক পান। এ সময় তাঁর মুখে হাসি ফুটে ওঠে।

এরপর দুই চিকিৎসক কেটলি প্রতীক নিতে আগ্রহ দেখান। সেখানেও লটারি হয়। এবার সরদার মো. মুসতানজীদ কেটলি পান। শেষে ইফতেখার মাহমুদকে মোড়া প্রতীক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। পুরো লটারির সময় মিলনায়তনে হাসির রোল পড়ে যায়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে মোট আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা শরিক দল জাসদকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেখানে হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন। তিনি মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে নির্বাচন করছেন। তাঁর প্রতীক ট্রাক। ট্রাক প্রতীক নিতে বাকি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী কোনো দাবি করেননি।