মির্জাপুরে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে দুই স্থান থেকে পাথর নিক্ষেপ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আবারও ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত সোয়া আটটার দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের একটি বগির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। একই ট্রেনে ঘণ্টাখানেক পর টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের কাছে আবার পাথর ছোড়া হয়।
মির্জাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। কামরুল হাসান বলেন, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। ওই গ্রুপে রুহুল আমিন সিদ্দিকী নামে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের এক যাত্রী পোস্টটি দেন। ওই পোস্টে দুটি জানালার ভাঙা কাচের ছবিও দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে মির্জাপুর স্টেশন অতিক্রম করার সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পাথরে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (লোকো মাস্টার) তৌহিদুল ইসলামের বাঁ চোখে আঘাত লাগে। ওই চালকের চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের এক চালকের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই চালক বলেন, অনেক ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা ট্রেন চালাচ্ছেন। যেকোনো সময় ছুড়ে মারা পাথরের আঘাত লাগতে পারে, এ আশঙ্কায় থাকতে হয়। পাথরের আঘাতে অনেকে পঙ্গু হয়ে কর্মহীনও হয়ে পড়েছেন। এ জন্য তিনি রেললাইনসংলগ্ন বাড়ির লোকজনদের সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন।
স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান বলেন, গতকাল মির্জাপুর পৌরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ না করার বিষয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় মাইকের প্রচারণা চালানো হবে।
মুঠোফোনে রেলওয়ে কমলাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ট্রেনে পাথর না ছোড়ার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। রেলের যাত্রীসহ এ সেবায় নিয়োজিত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে পুলিশ পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।