লঞ্চে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৮

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আট আসামি
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী ‘এমভি সোনার তরী-৩’ লঞ্চের আসনে বসাকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে মো. সুমন গাজী (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, সুমন গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী এলাকার ইউসুফ আলী গাজীর ছেলে। তিনি ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় ফার্নিচারের দোকানদার ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি সোনার তরী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন সুমন। লঞ্চে তাঁর পাশের আসনে ছিলেন মতলব উত্তরের ছেঙ্গারচর এলাকার বাসিন্দা বাবু আহমেদ। আসনে বসা নিয়ে সুমনের সঙ্গে বাবুর কথা–কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুমনকে হুমকি-ধমকি দেন বাবু এবং লঞ্চটি চাঁদপুরের কাছাকাছি পৌঁছালে বাবু মুঠোফোনে কল করে তাঁর বন্ধুদের লঞ্চঘাটে আসতে বলেন।

ওসি আরও বলেন, রাত সোয়া ১১টার দিকে লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে পৌঁছালে বাবু ও তাঁর বন্ধুরা সুমনের ওপর চড়াও হন। তাঁরা সুমনকে ব্যাপক মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় সুমনের কাছ থেকে টাকা, মুঠোফোনসহ অন্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন। ঘটনার পর গুরুতর আহতাবস্থায় সুমনকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে সুমনের মৃত্যু হয়।

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ বিকেলে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত বাবু আহমেদসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে পাঁচজনকে এবং লঞ্চের সিসি ক্যামেরা দেখে বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকার সবুজ প্রধানিয়া ও সাজ্জাদ মোল্লা, ট্রাক রোড এলাকার সাজ্জাদ হোসেন, রহমতপুর এলাকার সবুজ খান, গুনরাজদি এলাকার হাসান মাহমুদ ও মিরাজুল ইসলাম এবং ইচলী এলাকার রাকিব হোসেন। তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।