ভারত সফরে গিয়ে কিছুই আনতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ এখন কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীই রাখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার আসার পর থেকেই নির্বাচনী ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। কোন নির্বাচনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেখতে চায়? দেখতেই চায় না। কোথাও যদি প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে, তাকে কী করে বলপ্রয়োগপূর্বক রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে পরাজিত করা যায়, এ চেষ্টাই তারা করে। এখন আরও এক ডিগ্রি ওপরে উঠেছে যে তারা এখন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই রাখতে চাচ্ছে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করছে। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আবারও বলছি, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাচ্ছি না। এই দেশে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া মানুষ কোনো নির্বাচনই গ্রহণ করবে না। কারণ, ওই নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু ও অবাধ হবে না।’
আজ তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যে সংবাদ সম্মেলন করলেন, সেখানেও তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেননি দেশের মানুষের জন্য ভারত থেকে কী কী নিয়ে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত সফরে গিয়ে তিনি কিছুই নিয়ে আসতে পারেননি। আমরা আশা করেছিলাম তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যা, অবিভক্ত নদীগুলোর পানিবণ্টন সমস্যা, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, বাণিজ্যে যে অসম ভারসাম্য রয়েছে, তা দূর করতে উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু এ বিষয়গুলোর কোনো সমাধান পাইনি। আজ তিনি যে সংবাদ সম্মেলন করলেন, সেখানেও তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেননি দেশের মানুষের জন্য ভারত থেকে কী কী নিয়ে এসেছেন।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা করেছে—এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সম্পর্কে কোনো বক্তব্যই থাকবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না নির্বাচনকালীন সরকারের পরিবর্তন না হচ্ছে। এ নির্বাচনে কে প্রার্থী দিল, কে দিল না, তা নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই।’
যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অতি দ্রুত যুগপৎ আন্দোলন রূপরেখা দেব। আমরা ৩৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের আহ্বান জানিয়েছি, আসুন এক হয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাই। তারা সবাই এ প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে, এখন থেকে যুগপৎ আন্দোলন হবে।’
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি মো. তৈমূর রহমান, সহসভাপতি নুর করিম, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, আবু তাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।