মাদারীপুরে বসতঘরে রাখা বালতিতে ৫টি তাজা ককটেল

মাদারীপুরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালাতে বালতির মধ্যে রাখা ককটেলগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার রাতে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়মেহের এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে বসতঘর থেকে বালুভর্তি একটি বালতি থেকে পাঁচটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়মেহের এলাকার কেরামত আলী মীরের ঘর থেকে এই ককটেল উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টার দিকে এগুলো নিষ্ক্রিয় করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার ঝিকরহাটিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এনামুল দর্জি ও ইকবাল দর্জি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। সন্ধ্যার দিকে আবারও দুই পক্ষের লোকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রস্তুতি নেন। এ সময় পুলিশ দেখে মহসিন মীর, সজল মীর, এনামুল দর্জিসহ কয়েকজন একটি বালতি নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন। পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিলে তাঁরা বালতিটি কেরামত আলী মীরের ঘরে রেখে পালিয়ে যান। এ সময় ওই ঘর থেকে বালতিতে থাকা পাঁচটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। পরে খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটের একটি দল রাত ১০টার দিক ঘটনাস্থল বড়মেহের এলাকায় গিয়ে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, বালতির মধ্যে বালু রেখে সেখানে ককটেল বহন করে হামলার উদ্দেশ্যে বের করা হচ্ছিল। পুলিশের টহল দল দেখে হামলাকারীরা তাঁদের পক্ষের একটি ঘরে বালতি রেখে পালিয়ে যান। পুলিশের সন্দেহ হলে ওই ঘরে রাখা বালতি থেকে পাঁচটি তাজা বোমা উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। যাঁরা বোমাগুলো রেখে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।