রং মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি, সাত কারখানাকে জরিমানা

রাজশাহীর বাঘায় ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় র‌্যাব ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। মঙ্গলবার দুপুরে বাঘা উপজেলার চকসিংহগা পাঁচপাড়া গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাঘায় রং-চিনি মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরির ৭টি কারখানাকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার র‌্যাব-৫–এর সদর কোম্পানির একটি দল ও জতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে চার কেজি রংসহ গুড় তৈরির অন্যান্য উপকরণ জব্দ করা হয়। আজ বুধবার সকালে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকসিংগা পাঁচপাড়া গ্রামে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৭টি গুড় তৈরির কারখানা থেকে মোট ৩ হাজার ৬০০ কেজি ভেজাল গুড়, ৫ কেজি চুন, ৩ কেজি হাইড্রোজ, ৬ কেজি সোডা, ১২ কেজি ডালডা, ৪ কেজি রং, ৩ কেজি ফিটকিরি, ৫৫০ কেজি চিনি জব্দ করা হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় উৎপাদন এবং বিপণনের অপরাধে তাদের মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান চলাকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯–এর ৪৩ ধারায় মনা গুড় কারখানার মালিক মনিরুল ইসলাম ও তাঁর ভাই শরীফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা এবং একই আইনে রতন গুড় কারখানার মালিক মিনা রানী, রকি গুড় কারখানার মালিক রকি আহাম্মেদ ও কাজিম গুড় কারখানার মালিক কাজিম উদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। একই ধারায় সবুজ গুড় কারখানার মালিক সবুজ আলীকে ৩০ হাজার টাকা, মিঠুন গুড় কারখানার মালিক মিঠুন আলীকে ৫০ হাজার টাকা এবং আলাউদ্দিন গুড় কারখানার মালিক আলাউদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা গুড় ও ভেজাল গুড় তৈরির উপরকণ জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, চিনি দিয়ে গুড় তৈরির কারখানার সাত মালিক অধিক মুনাফা লাভের আশায় চিনি, চুন, ফিটকিরি, হাইড্রোজ ও রাসায়নিক মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি করে হাট-বাজারে বিক্রি করে আসছেন। সেই সঙ্গে গুড়ের রং উজ্জ্বল করতে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত রং। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গুড় ও গুড় তৈরির উপকরণ ধ্বংস এবং জরিমানা করা হয়েছে।