দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে সড়কের পাশ থেকে গলা কাটা অবস্থায় এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের গছাহার গ্রামের মেম্বারপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে নিহত স্কুলছাত্রের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম মিরাজুল ইসলাম। সে নশরতপুর ইউনিয়নের রানীরবন্দর গরুর হাট এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে ও পালাপাড়া দ্বিমুখী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েক পথচারী সড়কের পাশে গলা কাটা অবস্থায় মিরাজুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে চিরিরবন্দর থানার পুলিশ রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত মিরাজুলের লাশ উদ্ধার করে।
মিরাজুলের বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে মিরাজুল নিজের সাইকেল নিয়ে রানীরবন্দর বাজারে গিয়েছিল। এরপর বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। পরে গ্রামের কয়েকজনের কাছে জানতে পারেন, বিলের পারে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ পাওয়া গেছে। দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখেন, সেটা ছেলের লাশ। পাশেই তার সাইকেলটিও পড়ে ছিল।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, নিহত স্কুলছাত্রের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত স্কুলছাত্রের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সকালে মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বিরোধের জেরে মিরাজুলকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা কাজ করছে। শিগগিরই অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।