ফরিদপুরে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

মো. তুরাপ মোল্লাছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মানব পাচার ও হত্যা মামলার পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়া ঈদগাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ছিনিয়ে নেওয়ার আসামির নাম মো. তুরাপ মোল্লা (৪৫)। তিনি মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে পুলিশ হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি, তুরাপকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। সুযোগ পেয়ে তুরাপ পালিয়ে যান।

মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘তুরাপ আদম ব্যবসায়ী। ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মাঝারদিয়া গ্রামে নুর আলম নামের এক ব্যক্তিকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামি তুরাপ মোল্লা। ওই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।’ তিনি বলেন, আজ জুমার নামাজের সময় ঈদগাহ মসজিদের সামনে থেকে সালথা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তুরাপকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তুরাপের ভাই–ভাতিজারা পুলিশের ওপর হামলা করে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

সালথা থানার এএসআই নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। তুরাপকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর পরিবারের লোকজন এসে তুরাপকেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। কৌশলে তুরাপ দৌড়ে পালিয়ে যান।’

মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আফসার উদ্দিন মাতুব্বর বলেন, জুমার নামাজ শেষে সালথা থানা–পুলিশের একটি দল তুরাপকে মসজিদের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তুরাপের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরে তুরাপের আত্মীয়স্বজনেরা যোগ দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে তুরাপকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আসামিকে ধরতে পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে নেমেছে। আশা করি, দ্রুত তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারব।’