নোয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারপ্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নুর হোসেন ওরফে পলাশ (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আজ রোববার বিকেলে চাটখিল বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নুর হোসেনের চাটখিলে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। চিকিৎসা বিষয়ে কোনো ডিগ্রি না থাকার পরও তিনি ওই দোকানে চিকিৎসক পরিচয়ে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া ও অস্ত্রোপচার করতেন বলে জানা গেছে। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর তাঁর ওষুধের দোকানটি সিলগালা করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে বিকেলে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রী কয়েকটি প্যাথলজি রিপোর্ট দেখানোর জন্য নুর হোসেনের দোকানে যান। নুর হোসেন ওই ছাত্রীকে কৌশলে দোকানের ভেতরে ডেকে নেন। সেখানে ওই ছাত্রীর নাকে কিছু একটা স্প্রে করেন। এতে ওই ছাত্রীর শরীর অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ সময় দোকানের পেছনে ওই ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন নুর হোসেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, ধর্ষণের পর নুর হোসেন ওই ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বলেন। ভুক্তভোগী শুরুতে ভয়ের কারণে পরিবারের কাছে বিষয়টি গোপন রাখলেও, কয়েক দিন পর চিরকুট লিখে মাকে ঘটনাটি জানান। এরপর আজ ওই ছাত্রী ও তাঁর মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। এরপর পুলিশ নুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, নুর হোসেন নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পাইলসের অস্ত্রোপচার করতেন। কয়েক মাস আগে তাঁর দোকানে পাইলসের কথিত অস্ত্রোপচার করানোর সময় রামগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তির মলদ্বার কেটে যায়। এ ঘটনার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানে গেলে নুর হোসেন দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত নুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে আগামীকাল সোমবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।