কুমিল্লার ১১টি আসনে ৯৩৫ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

কুমিল্লা জেলার মানচিত্র

কুমিল্লা জেলায় ১১টি সংসদীয় আসনের ১ হাজার ৪৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯৩৫টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৩৭১টি ভোটকেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২২টি রাজনৈতিক দলের ৯৩ জন প্রার্থী আছেন। ৭ জানুয়ারি জেলার ১ হাজার ৪৩৫টি ভোটকেন্দ্রের ৯ হাজার ৩৮৮টি কক্ষে ভোট গ্রহণ হবে। এতে ১ হাজার ৪৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৯ হাজার ৩০০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১৮ হাজার ৬০০ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটার সংখ্যা ৪৬ লাখ ৬ হাজার ১৯৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৪ জন ও নারী ভোটার ২২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৬ জন।

কুমিল্লা-১১ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই) আসনের ১৮৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ৮৭টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৫৫টি ও সাধারণ কেন্দ্র ৪৫টি। কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে ১২৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৮টি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, ৪১টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৬টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র। কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে ১৫২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, ৭৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩৫টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৮৮২ জন পুলিশের সদস্য থাকবেন। র‍্যাবের সদস্য থাকবেন ২৩০ জন। ৩২ প্লাটুনে ৬৮২ জন বিজিবির সদস্য টহল দেবেন। কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা মাঠে থাকবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৫৫ জন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ২৫ জন। ভোটের দিন রেললাইন পাহারায় ৯৪টি পয়েন্টে ১৭ হাজার ৫৪০ জন আনসার সদস্য কাজ করবেন। প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। কুমিল্লা মহানগরে চারটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতি ভোটকেন্দ্রে দুজন পুলিশ ও দুজন আনসার সদস্যের কাছে অস্ত্র থাকবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১১ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১১২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় ছয়টি ও মেঘনা উপজেলায় চারটি দুর্গম ভোটকেন্দ্র আছে। তবে জেলার সব আসনে সকালে ব্যালট পেপার যাবে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট হবে। নির্বাচনে কোনো ধরনের হাঙ্গামা বরদাশত করা হবে না। হাঙ্গামা করলেই ভোট বন্ধ হবে। কাউকে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।