ভোটারদের টাকা দেওয়ার সন্দেহে নেছারাবাদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর হামলা

পিরোজপুর জেলার মানচিত্র

জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার করফা বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষে একজন সদস্যপ্রার্থীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আহত ব্যক্তি ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সোমবার দেশের অন্যান্য জেলা পরিষদের মতো পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট গ্রহণ পর্বের আগে গতকাল গভীর রাতে নেছারাবাদ উপজেলার (২ নম্বর ওয়ার্ড) সদস্যপ্রার্থী মো. সেলিম হোসেন দৈহারী ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্যের বাড়িতে যান। সেলিম হোসেন সেখানে টাকা দিয়ে ভোট কিনতে গেছেন, এখন খবরে প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্যপ্রার্থী জাকারিয়া খানের লোকজন ওই এলাকায় ছুটে যান। রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার করফা বাজার এলাকায় দুই প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সদস্যপ্রার্থী সেলিম হোসেন (৪৫), জাকারিয়া খানের সমর্থক সাজে আলম (৩২), মো. বদরুল হোসেন (৩৬), নিয়াজ মোর্শেদ (২৪) ও সাইকী তালুকদার (২০) আহত হন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম বলেন, আহত সেলিম হোসেন ও নিয়াজ মোর্শেদকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাকারিয়া খান অভিযোগ করেন, সেলিম হোসেন ভোট কেনার জন্য গভীর রাতে ভোটারদের বাড়িতে ২০ হাজার টাকার চেক নিয়ে যান। তিনি দৈহারী ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন সদস্যকে এ চেক দেন। ভোটের পর ২০ হাজার টাকা দেবেন বলেন জানান। ভোট কেনার খবর পেয়ে লোকজন তাঁকে ঘেরাও করে। এ সময় কয়েকজন আহত হন। এ সময় সেলিম হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মো. হোসেন বলেন, ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় রাজনীতিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাকারিয়া খান নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সেলিম হোসেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের অনুসারী।