শেরপুরে আয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকের আয়াকে (৩৫) ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক আবদুল আলিমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে শহরের হাসপাতাল সড়ক থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, আজ সকাল ১০টার দিকে ওই নারী থানায় এসে ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার পর ওই ব্যবস্থাপককে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক আবদুস সালাম বলেন, থানায় মামলা হওয়ার পরপরই ওই ব্যবস্থাপককে শহরের হাসপাতাল সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেলা তিনটার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারী বলেন, সাত বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। এরপর তিনি একটি ক্লিনিকে আয়া হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ক্লিনিকে চাকরির টাকা দিয়ে কোনোমতে চলত তাঁর সংসার। কর্মরত থাকা অবস্থায় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বৃষ্টির কারণে বাড়ি যেতে না পারায় তাঁর এক সহকর্মীর বাড়িতে ছিলেন। সেই রাতেও জরুরি কাজের কথা বলে ওই ব্যবস্থাপক তাঁর সহকর্মীর বাড়িতে এসে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর তিনি তাঁকে (ব্যবস্থাপক) বিয়ের চাপ দিলে উল্টো তাঁকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান এবং গত শনিবার তাঁকে ক্লিনিক থেকে চাকরিচ্যুত করেন। এর পর থেকে তিনি সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ভুক্তভোগী নারী এখন শেরপুর থানা-পুলিশের হেফাজতে আছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।