আদালত
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে গোবিন্দ চন্দ্র পাল (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৫ বছর ৯ মাস পর আজ সোমবার বেলা একটার দিকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

গোবিন্দ চন্দ্র পাল শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের রামরায়েরকান্দি এলাকার গোপাল চন্দ্র পালের ছেলে। তিনি পলাতক।

আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, রামরায়েরকান্দি এলাকার গোবিন্দ চন্দ্র পাল পার্শ্ববর্তী এলাকার মিলানি রানী পালকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে গোবিন্দ চন্দ্রের সঙ্গে মিলানির কলহ লেগে থাকত। ১৯৯৬ সালে ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মিলানিকে গলা টিপে হত্যা করেন গোবিন্দ। এ ঘটনার চার দিন পর ৯ ডিসেম্বর শিবচর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক আব্বাসউদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ১৯৯৭ সালে ২ ফেব্রুয়ারি শিবচর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক নাজমুল হক ভূঁইয়া মিলানির স্বামী গোবিন্দ চন্দ্র পালকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষে এবং নয়জনের সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় নিহত মিলানির কোনো স্বজনও উপস্থিত ছিলেন না।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সিদ্দিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলার শুরু থেকেই আসামি পলাতক। পুলিশ কখনোই আসামিকে আদালতে হাজির করতে পারেনি। আমাদের ধারণা, সাজাপ্রাপ্ত এই আসামি দেশে নেই। তাঁকে খুঁজে বের করে আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে আসামির সাজা কার্যকর হবে।’

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আসামি যেহেতু শুরু থেকে পলাতক এবং মিলানির স্বজনেরাও আদালতে সেভাবে এগিয়ে না আসায় এ মামলা নিষ্পত্তি করতে দীর্ঘ ২৫ বছর ৯ মাস ১৪ দিন লেগেছে। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মিলানির কোনো স্বজন উপস্থিত ছিলেন না।