হিমাগারে বসে ২৭ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করল ভোক্তা অধিকার
মুন্সিগঞ্জে হিমাগারে বসে থেকে ২৭ টাকা দরে ৩৪ হাজার কেজি আলু বিক্রি করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার চর মুক্তারপুর এলাকার দুটি হিমাগার তদারকি শেষে এসব আলু বিভিন্ন সুপারশপের কাছে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আবদুস সালাম বলেন, ‘সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে খুচরা ও হিমাগার পর্যায়ে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে চর মুক্তারপুর এলাকার দেওয়ান কোল্ড স্টোরেজ ও মুক্তারপুর কোল্ড স্টোরেজে তদারক করতে যাই। দুই হিমাগারে বসে আগোরা, স্বপ্ন, মীনাবাজার, ডেইলি শপিং নামের সুপার শপগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে ২৭ টাকা কেজি দরে ৬৮০ বস্তা (৩৪ হাজার কেজি) বিক্রি করি। এখন থেকে এ দামে সুপার শপে আলু পৌঁছে দেবেন মুন্সিগঞ্জের ব্যাপারীরা।’
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, খুচরা বাজারে আলুর দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার আলুর দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং হিমাগার পর্যায়ে ২৬ থেকে ২৭ টাকা বেঁধে দেয়। তবে ব্যবসায়ীরা এই দর না মেনে হিমাগার পর্যায়ে ৩৯-৪০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জের হিমাগারে পরিদর্শনে আসেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। হিমাগার পরিদর্শন শেষে পরদিন থেকে রসিদের মাধ্যমে ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে ৩৫-৩৬ টাকা দর আলু বিক্রির নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে। এর ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হিমাগার ও বাজার তদারক শুরু করে অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন। শহর ও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে ভোক্তাদের জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি শুরু হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারে বেঁধে দেওয়া দামেই খুচরা বাজার ও হিমাগারে আলু বিক্রি হবে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছি। ট্রাকে করে প্রতিটি ইউনিয়নে আলু আলু বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারের সঙ্গে সঙ্গে সুপারশপগুলোতেও আলু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে আজ কয়েকটি সুপারশপে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। সরকার নির্ধারিত দামে আলু ক্রয়-বিক্রয়ে এমন তদারকি অব্যাহত থাকবে।’