মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নেত্রকোনা থেকে আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার

গত বুধবার বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে রাস্তার ওপর ব্যবসায়ী লাল চাঁদকে নৃশংসভাবে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোরে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার চায়না মোড় এলাকা থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বলেন, নেত্রকোনা পুলিশের সহায়তায় দুর্গাপুরের চায়না মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাঁদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। হয়তো তাঁদের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে সেখানে জানানো হবে।

আরও পড়ুন

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সজীব ব্যাপারী ও রাজীব ব্যাপারী। তাঁরা বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার টুনারচর এলাকার প্রয়াত ইউনুস ব্যাপারীর ছেলে। সম্পর্কে দুই ভাই। তাঁদের মধ্যে রাজীব মামলার ১০ নম্বর ও সজীব ৭ নম্বর আসামি।

গত বুধবার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদকে হত্যা করে একদল লোক। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে ও ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয়। তাঁর শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ।

আরও পড়ুন

লাল চাঁদ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত বৃহস্পতিবার একটি মামলা হয়েছে। নিহত লাল চাঁদের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে। আজ রাজীব ও সজীব দুই ভাইকে গ্রেপ্তারের পর এখন পর্যন্ত মামলায় মোট সাতজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন